শবে কদর | PUSHPKOLI

শবে কদর

আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে সূরা কদর নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাযিল করেছেন, তাতে শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত বয়ান করেছেন: "শবে কদরের একরাত্রি এক হাজার মাস হতে শ্রেষ্ঠ।"

এই উম্মতের আয়ু ও জীবন যেহেতু পূর্ববর্তী উম্মতগণের তুলনায় কম, এজন্য আল্লাহ তা'আলা দয়া ও মেহেরবানী করে এমন একটি রাত্র এই উম্মতের জন্য ঠিক করে দিয়েছেন, যে রাতে এবাদত করার ছোয়াব অন্যান্য সময় এক হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও বেশি। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা এ রাতটিকে গোপন রেখেছেন, যাতে বান্দারা তালাশে থাকে এবং অধিক ইবাদতের মাধ্যমে বে-হিসাব নেকীর ভাগী হতে পারে।

রমজানের শেষ দশকের বে-জোড় রাতগুলোতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশী অর্থাৎ ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ এর রাতগুলো। আরবি হিসাবে রাতকে আগে ধরা, তাই ২১শের রাত্রি বলতে ২০শে রমজান দিবাগত রাতকে বুঝায়-এভাবে বাকিগুলোও বুঝতে হবে।
সর্বাপেক্ষা মশহুর কওল অনুযায়ী ২৭শে রাতেই শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

উত্তম যে, শক্তি সাহস হলে শেষ দশটি রাত্রই জাগরণ করবে, বিশেষত: বে-জোড় রাতগুলোর অধিক এহতেমাম করবে—বেশি বেশি ইবাদত, তওবা ইস্তেগফার ও দোয়া দরুদ ও জিকির তেলাওয়াতে মাশগুল থাকবে। পুরা রাত জাগরণের হিম্মত না হলে যতটুকু সম্ভব ততটুকু জন্য চেষ্টার কোন ত্রুটি করবে না। কিছু না হলে অন্তত: ইশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় অবশ্যই করবে; হাদীস শরীফে এসেছে এতটুকু হলেও পুরা রাত জাগরণের ন্যায় হবে।

শবে কদরের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন:
اللهم انك عفو تحب العفو فاعف عني
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাআফু আন্নী।

অর্থ: ইয়াম্মা আপনি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করা আপনি পছন্দ করেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।
 —আহমদ, তিরমিযী,
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url