কুরআন ও হাদীসের আলোকে নামাযের গুরুত্ব | জামাতের সাথে নামাজ আদায় | PUSHPKOLI
জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব ও তার গুরুত্ব সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস|
মুফতি মনসুরুল হক সাহেব (দা:বা:)
[সূরা বাকারা ৪৩, তাফসীরে ইবনে কাসীর ১ম খণ্ড ৮৮ পৃষ্ঠা, তাফসীরে মাযহারী-১/৬৩]
কয়েকটি হাদিস:
ক. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, ঐ স্বত্তার কসম যার কুদরতী হাতে আমার প্রাণ,আমার মনে চায় যে লোকদেরকে প্রথমে কষ্ট সংগ্রহের নির্দেশ দেই, অতঃপর একজনকে জামাত কায়েম করার হুকুম দেই এরপর ঐ সকল পুরুষদের কাছে যাই যারা জামাতে হাজির হয়নি এবং তাদের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেই।
(বুখারী শরীফ হাদিস নং-৬৪৪)
খ. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.)-এর সূত্রে বর্ণিত, এক অন্ধ ব্যক্তি নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন: ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার এমন কোন সাহায্যকারী নেই যে আমাকে মসজিদে নিয়ে যাবে। এই বলে তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি চাইলেন। প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন। কিন্তু পরক্ষণই তার চলে যাওয়ার মুহূর্তে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আজান শোন..? তিনি জওয়াব দিলেন, হ্যা! আজান শুনতে পাই। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, তাহলে তুমি মসজিদে এসে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করবে।
(মুসলিম শরীফ হাদিস নং-৬৫৩)
উল্লেখ্য যে,অন্ধ ব্যক্তির জন্য জামাতে উপস্থিত হওয়া জরুরী না থাকা সত্বেও জামাতের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য এবং বিশিষ্ট সাহাবী হওয়ার কারণে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জামাতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গ. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি.) বলেন, আমাদের যুগে আমি দেখেছি যে, প্রকাশ্য মুনাফিক এবং অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া কেউ জামাত ত্যাগ করত না। এমনকি কোন অসুস্থ ব্যক্তি যদি দুইজনের কাঁধে ভর করে হাঁটতে পারত তবে সেও মসজিদে এসে জামাতে শরীক হত।
(মুসলিম শরীফ হাদিস নং-৬৫৪)
মুফতি মনসুরুল হক সাহেব (দা:বা:)
জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে শরীয়তের যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কুরআনে কারীমে মহান রাব্বুলআলামীন এরশাদ করেন, তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো। অর্থাৎ, মসজিদে জামাতের সাথে নামায আদায় করো।[সূরা বাকারা ৪৩, তাফসীরে ইবনে কাসীর ১ম খণ্ড ৮৮ পৃষ্ঠা, তাফসীরে মাযহারী-১/৬৩]
কয়েকটি হাদিস:
ক. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, ঐ স্বত্তার কসম যার কুদরতী হাতে আমার প্রাণ,আমার মনে চায় যে লোকদেরকে প্রথমে কষ্ট সংগ্রহের নির্দেশ দেই, অতঃপর একজনকে জামাত কায়েম করার হুকুম দেই এরপর ঐ সকল পুরুষদের কাছে যাই যারা জামাতে হাজির হয়নি এবং তাদের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেই।
(বুখারী শরীফ হাদিস নং-৬৪৪)
খ. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.)-এর সূত্রে বর্ণিত, এক অন্ধ ব্যক্তি নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন: ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার এমন কোন সাহায্যকারী নেই যে আমাকে মসজিদে নিয়ে যাবে। এই বলে তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি চাইলেন। প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন। কিন্তু পরক্ষণই তার চলে যাওয়ার মুহূর্তে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আজান শোন..? তিনি জওয়াব দিলেন, হ্যা! আজান শুনতে পাই। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, তাহলে তুমি মসজিদে এসে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করবে।
(মুসলিম শরীফ হাদিস নং-৬৫৩)
উল্লেখ্য যে,অন্ধ ব্যক্তির জন্য জামাতে উপস্থিত হওয়া জরুরী না থাকা সত্বেও জামাতের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য এবং বিশিষ্ট সাহাবী হওয়ার কারণে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জামাতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গ. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি.) বলেন, আমাদের যুগে আমি দেখেছি যে, প্রকাশ্য মুনাফিক এবং অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া কেউ জামাত ত্যাগ করত না। এমনকি কোন অসুস্থ ব্যক্তি যদি দুইজনের কাঁধে ভর করে হাঁটতে পারত তবে সেও মসজিদে এসে জামাতে শরীক হত।
(মুসলিম শরীফ হাদিস নং-৬৫৪)