কি কি কাজ করা কোরআন শরীফের প্রতি বেয়াদবি | PUSHPKOLI
এটা কি কোরআন শরীফের প্রতি জুলুম নয়..?
মুহিউস্ সুন্নাহ হযরত মাওলানা আবরারুল হক সাহেব হারদুঈ রহ. বলেন,
১. নিজের ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, খাওয়া-দাওয়া উত্তম থেকে অতি উত্তম ও দামী হওয়ার ফিকির করা হয়। অথচ কোরআন শরীফ তাজবিদের সাথে উত্তমরূপে তেলাওয়াতের ফিকির করা হয় না।
২. নিজের স্ত্রী কিংবা বোন দুজনের চিঠি আসলে সে চিঠি পড়ানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়তে জানালো তালাশ করা হয় এবং তাকে দিয়ে পড়িয়ে শোনা হয়। অথচ আল্লাহ তা'আলার কালাম কোরআন শরীফ জানার জন্য অভিজ্ঞ আলেমের নিকট তাফসীর শোনার ফিকির করা হয় না।
৩. দারুল হাদিস তথা হাদিসের পাঠকক্ষ কে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয়। অথচ দারুল কোরআন তথা কোরআন শরীফ শেখার জন্য স্বতন্ত্র জায়গার ব্যবস্থা করা হয় না। স্বতন্ত্র ব্যবস্থা থাকলেও তাকে সম্মান দৃষ্টিতে দেখা হয় না এবং উন্নত করা হয় না।
৪. ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তাদের কে চেয়ারে বসানো হয়। অথচ কুরআন শরীফ তেলাওয়াতকারী কে চেয়ারে বসানো হয় না।
৫. বিভিন্ন সভা সমিতির শুরুতে লোক জমা করার জন্য কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করানো হয়। অথচ মূল বক্তব্য ও আলোচনা লোকজন এসে বসার পর করা হয়। তখন আর তেলাওয়াত করা হয় না।
৬. দারুল হাদিসে দামি ম্যাট কার্পেট বিছানো হয়। অথচ দারুল কুরআন তথা হিফজ, নাজেরা, তাজবীদ ও কেরাত বিভাগের কামরায় ছেঁড়া চট চাটাই বিছানো হয়।
৭. নিজের শরীর কেটে গেলে কিংবা ক্ষত হলে তৎক্ষণাৎ মলম, পট্টি ব্যান্ডেজের ব্যবস্থা করা হয়। অথচ কোরআন শরীফ ছেঁড়া ও বাধাই বিহীন অবস্থায় অনাদরে ও অবহেলায় ফেলে রাখা হয়।
৮. নিজের আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু হলে কাফন পরিয়ে তৎক্ষণাৎ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়, অথচ আল্লাহর কালাম তথা কোরআন শরীফের পাতা ছিড়ে গেলে এবং পড়ার কাজে না আসলে তা অন্ধকার কূপে ফেলে দেয়া হয়, কিংবা মাসজিদে রেখে আসা হয়, অথবা পানির স্রোতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। স্মরণ রাখা উচিৎ! কোরআন শরীফ পড়ার অনুপযোগী হয়ে গেলে তাহলে তুমি কাপড়ের মোড়কে সুগন্ধি মাখিয়ে যেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলের সম্ভাবনা নেই এমন স্থানে দাফন করা উচিৎ।
৯. টেবিল, দরজা-জানালা আলমারীর উপর পর্দা লাগানো হয়, অথচ কুরআন শরীফ কে কাপড় বিহীন খালি তাকে রাখা হয়।
১০. নিজেদের কাপড়-চোপড় রাখার জন্য শেলফ, আলমারী এবং ওয়ারড্রব ইত্যাদি বানানো হয়। অথচ কুরান শারিফ বিন অবস্থায় অযত্নে অনাদরে রেখে দেয়া হয়।
১১. নিজেরা তো পোশাক পরিধান করি অথচ কোরআন শরীফ বস্ত্র-গিলাবিহীন রাখা হয়।
১২. নিজের এবং ছেলে মেয়েদের পোশাক ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় বাজারে ব্যয় করা হয়, অথচ কোরআন শরীফের গিলাফ সেলোয়ার-কামিজের উদ্বৃত্ত কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়।
১৩. নিজের কাপড়-চোপড় সপ্তাহে দুই-তিন বার ধৌত করা হয়, অথচ কোরআন শরীফের গিলাফ জিন্দেগীভর ধৌত করা হয় না।
১৪. নিজের ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় ধোয়া পানির ন্যায় কোরআন শরীফের গিলাফ ধোয়ার পানি বাথরুমের ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়। স্মরণ রাখা উচিৎ! কোরআন শরীফের গিলাফ ধোয়া পানি বরকতের উদ্দেশ্যে ঘরের দেয়ালে ছিটিয়ে দিবে, কিংবা ফুলের টবে সম্মানের সাথে দিলে দিবে।
১৫. নিজের চেয়ার, খাট-পালঙ্কের পায়া ভেঙ্গে গেলে তা উল্টিয়ে ব্যবহার করা হয় না, অথচ কোরআন শরীফের চেয়ার-রেহাল ভেঙ্গে গেলে উল্টিয়ে ব্যবহার করা হয়।
১৬. প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী প্রমুখের জন্য স্বতন্ত্র চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়, অথচ কোআন শরিফ এবং হাদিসের চেয়ার ভিন্ন ভিন্ন রাখা হয় না বরং যে রিহাল বা তে-পায়ার উপর আল্লাহর কালাম পাঠ করা হয় তার উপর এই হাদিসের কিতাব রেখে পাঠ করা হয়।
হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. বলেন, কোরআন শরীফ কে সম্মান করো, কোরআন শরীফ সহীহ-শুদ্ধ করে পড়ো, কোরআন শরীফের বাহককে সম্মান করো, তোমাদের অভাব থাকবে না।
মুহিউস্ সুন্নাহ হযরত মাওলানা আবরারুল হক সাহেব হারদুঈ রহ. বলেন,
১. নিজের ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, খাওয়া-দাওয়া উত্তম থেকে অতি উত্তম ও দামী হওয়ার ফিকির করা হয়। অথচ কোরআন শরীফ তাজবিদের সাথে উত্তমরূপে তেলাওয়াতের ফিকির করা হয় না।
২. নিজের স্ত্রী কিংবা বোন দুজনের চিঠি আসলে সে চিঠি পড়ানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়তে জানালো তালাশ করা হয় এবং তাকে দিয়ে পড়িয়ে শোনা হয়। অথচ আল্লাহ তা'আলার কালাম কোরআন শরীফ জানার জন্য অভিজ্ঞ আলেমের নিকট তাফসীর শোনার ফিকির করা হয় না।
৩. দারুল হাদিস তথা হাদিসের পাঠকক্ষ কে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয়। অথচ দারুল কোরআন তথা কোরআন শরীফ শেখার জন্য স্বতন্ত্র জায়গার ব্যবস্থা করা হয় না। স্বতন্ত্র ব্যবস্থা থাকলেও তাকে সম্মান দৃষ্টিতে দেখা হয় না এবং উন্নত করা হয় না।
৪. ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তাদের কে চেয়ারে বসানো হয়। অথচ কুরআন শরীফ তেলাওয়াতকারী কে চেয়ারে বসানো হয় না।
৫. বিভিন্ন সভা সমিতির শুরুতে লোক জমা করার জন্য কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করানো হয়। অথচ মূল বক্তব্য ও আলোচনা লোকজন এসে বসার পর করা হয়। তখন আর তেলাওয়াত করা হয় না।
৬. দারুল হাদিসে দামি ম্যাট কার্পেট বিছানো হয়। অথচ দারুল কুরআন তথা হিফজ, নাজেরা, তাজবীদ ও কেরাত বিভাগের কামরায় ছেঁড়া চট চাটাই বিছানো হয়।
৭. নিজের শরীর কেটে গেলে কিংবা ক্ষত হলে তৎক্ষণাৎ মলম, পট্টি ব্যান্ডেজের ব্যবস্থা করা হয়। অথচ কোরআন শরীফ ছেঁড়া ও বাধাই বিহীন অবস্থায় অনাদরে ও অবহেলায় ফেলে রাখা হয়।
৮. নিজের আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু হলে কাফন পরিয়ে তৎক্ষণাৎ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়, অথচ আল্লাহর কালাম তথা কোরআন শরীফের পাতা ছিড়ে গেলে এবং পড়ার কাজে না আসলে তা অন্ধকার কূপে ফেলে দেয়া হয়, কিংবা মাসজিদে রেখে আসা হয়, অথবা পানির স্রোতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। স্মরণ রাখা উচিৎ! কোরআন শরীফ পড়ার অনুপযোগী হয়ে গেলে তাহলে তুমি কাপড়ের মোড়কে সুগন্ধি মাখিয়ে যেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলের সম্ভাবনা নেই এমন স্থানে দাফন করা উচিৎ।
৯. টেবিল, দরজা-জানালা আলমারীর উপর পর্দা লাগানো হয়, অথচ কুরআন শরীফ কে কাপড় বিহীন খালি তাকে রাখা হয়।
১০. নিজেদের কাপড়-চোপড় রাখার জন্য শেলফ, আলমারী এবং ওয়ারড্রব ইত্যাদি বানানো হয়। অথচ কুরান শারিফ বিন অবস্থায় অযত্নে অনাদরে রেখে দেয়া হয়।
১১. নিজেরা তো পোশাক পরিধান করি অথচ কোরআন শরীফ বস্ত্র-গিলাবিহীন রাখা হয়।
১২. নিজের এবং ছেলে মেয়েদের পোশাক ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় বাজারে ব্যয় করা হয়, অথচ কোরআন শরীফের গিলাফ সেলোয়ার-কামিজের উদ্বৃত্ত কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়।
১৩. নিজের কাপড়-চোপড় সপ্তাহে দুই-তিন বার ধৌত করা হয়, অথচ কোরআন শরীফের গিলাফ জিন্দেগীভর ধৌত করা হয় না।
১৪. নিজের ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় ধোয়া পানির ন্যায় কোরআন শরীফের গিলাফ ধোয়ার পানি বাথরুমের ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়। স্মরণ রাখা উচিৎ! কোরআন শরীফের গিলাফ ধোয়া পানি বরকতের উদ্দেশ্যে ঘরের দেয়ালে ছিটিয়ে দিবে, কিংবা ফুলের টবে সম্মানের সাথে দিলে দিবে।
১৫. নিজের চেয়ার, খাট-পালঙ্কের পায়া ভেঙ্গে গেলে তা উল্টিয়ে ব্যবহার করা হয় না, অথচ কোরআন শরীফের চেয়ার-রেহাল ভেঙ্গে গেলে উল্টিয়ে ব্যবহার করা হয়।
১৬. প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী প্রমুখের জন্য স্বতন্ত্র চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়, অথচ কোআন শরিফ এবং হাদিসের চেয়ার ভিন্ন ভিন্ন রাখা হয় না বরং যে রিহাল বা তে-পায়ার উপর আল্লাহর কালাম পাঠ করা হয় তার উপর এই হাদিসের কিতাব রেখে পাঠ করা হয়।
হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. বলেন, কোরআন শরীফ কে সম্মান করো, কোরআন শরীফ সহীহ-শুদ্ধ করে পড়ো, কোরআন শরীফের বাহককে সম্মান করো, তোমাদের অভাব থাকবে না।