শবে মেরাজের বর্জনীয় বিষয় সমূহ | PUSHPKOLI
শবে মেরাজ সম্পর্কিত বর্জনীয় বিষয় সমূহ
মেরাজের ঘটনা কোন বছর কোন মাসের কোন তারিখ এবং কোন রাতে হয়েছিল তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে অনেক মতভেদ রয়েছে এবং এ রাতটি পৃথিবীর ইতিহাসে একবারই এসেছে। কেয়ামত পর্যন্ত আর কখনো মিরাজ সংঘটিত হবে না। সুতরাং কোন একটা তারিখ চূড়ান্ত মনে করা ও অন্যান্যগুলিকে ভুল বলা যাবে না। অর্থাৎ,পরিপূর্ণ নিশ্চয়তার সাথে এ কথা বলা যায় না যে কোন তারিখের কোন রাতে মেরাজের ঘটনা হয়েছিল।শবে মেরাজের ইবাদত বন্দেগীর ব্যাপারে কোন ফজিলত কোরআন হাদিসের মধ্যে প্রমাণিত নয়। সুতরাং সম্ভাব্য এই দিনে রোজা রাখা শবে কদরের মত এই রাতকে ফজিলতপূর্ণ মনে করা। রাতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল হওয়া। দিনে রোজা রাখা।সরকারি ভাবে শবে মেরাজ পালনের উদ্যোগ নেওয়া। এই রাত্রকে উদ্দেশ্য করে মসজিদে ভীড় জমানো। মসজিদে আলোকসজ্জা করা। রাত্র জাগরণ করা। বাড়ি বাড়ি মিলাদ পড়া। প্রচার মাধ্যমে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা। পত্রপত্রিকায় বিশেষ বিনোদন প্রকাশ করা। শবে মেরাজ উপলক্ষে হালুয়া-রুটির আয়োজন করা ইত্যাদি কোনটাই সহীহ নয়। শবে মেরাজ যদি শবে বরাত বা শবে কদরের মত ফজিলত পূর্ণ কোন ইবাদতের রাত হত। তাহলে তার দিন তারিখ সংরক্ষিত থাকতো।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হতো। সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) এর কোন না কোন আমল পাওয়া যেত। অথচ এ বিষয়ে কোরআন হাদিসে কোন আমলের কথা বর্ণনা নেই।অতএব বছরের অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ইবাদত বন্দেগী করাই আমাদের এ দিনের কর্তব্য।
(সূরায়ে মায়িদা: ৩, বুখারী হাদিস নং-২৬৯৭, মুসলিম হাদিস নং-৫৯৬)