নামাজ পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন | PUSHPKOLI

নামাজ পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন


(আল হাদিস)
عن علي رضى الله تعالى عنه قال حدثني ابو بكر وصدق ابو بكر رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول: ما من رجل يذنب ذنبا ثم يقول فيطهر ثم يصلي ثم يستغفر الله الا غفر الله له ثم قرأ والذين اذا فعلوا فاحشة أو ظلموا انفسهم ذكروا الله فاستغفروا لذنوبهم
(ترمذي)


হযরত আলী (রা.) বলেন:
 হযরত আবু বকর (রা.) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন এবং সত্যিই বলেছেন যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি! কোন ব্যক্তি যদি কোন পাপ করে বসে অতঃপর উত্তম ভাবে পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ আদায় করে অতঃপর আল্লাহ তা'আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে আল্লাহ তা'আলা তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেন অতঃপর নিম্নোক্ত আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন—
والذين اذا فعلوا فاحشة الخ

যারা অশ্লীল কাজ করে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করে অতঃপর আল্লাহর জিকির করে এবং তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে..... শেষ পর্যন্ত।
তাওবার মূল বিষয় হলো তিনটিঃ
১. আন্তরিকভাবে লজ্জিত ও অনুশোচিত হওয়া।
২. গুনাহ না করার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করা।
৩. তৃতীয় হচ্ছে আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর বান্দাদের যেসব হক নষ্ট করা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ আদায় করা।

আমাদের স্মরণ রাখা উচিত যে, তওবা করার আশায় গুনাহের কাজ করা যেরূপ হারাম, এরূপ আমার দ্বারা খাঁটি তওবা হয় না, তাই বার বার গুনাহ করে শেষ জীবনে বৃদ্ধ বয়সে তওবা করব– এমন কথা ভেবে তওবা করতে বিলম্ব করাও কঠিন গুনাহের কাজ এবং আত্মঘাতী ভূমিকা।মানুষের নফস কিছুটা স্বাদ ভোগ করার জন্য এবং শয়তান শত্রুতা করে মানুষকে তওবা হতে ফিরিয়ে রাখে আর বলে যে, ভবিষ্যতে কোন এক সময় তওবা করব। এ পরম দুই শত্রু থেকে আত্মরক্ষা করা উচিৎ এবং তড়িঘড়ি খাঁটি মনে তওবা করা উচিৎ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url