জামাতে নামাজ ত্যাগকারীদের ব্যাপারে হুযুর (সা.) এর সতর্ক বাণী
জামাতে নামাজ ত্যাগকারীদের ব্যাপারে হুযুর (সা.) এর সতর্ক বাণী...
মুফতি মনসুরুল হক সাহেব (দা: বা:)
১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি.) বলেন,যে ব্যক্তিকে একথা আনন্দ দান করে যে কাল কিয়ামতের দিন সে মুসলমান হিসাবে আল্লাহ তাআলার সহিত মিলিত হবে সে যেন ফরজ নামাজ সমূহকে এমন স্থানে আদায়ের ইহতিমাম করে যেখানে আযান দেয়া হয় অর্থাৎ, মাসজিদে কিংবা আল্লাহ তা'আলা তোমাদের নবীর জন্য এমন সুন্নতসমূহ জারী করেছেন, যা হিদায়াতপূর্ণ। আর জামাআতের সাথে নামাজ আদায় নিশ্চিত রূপে সুনানে হুদা তথা হিদায়াতের আলোদানকারী সুন্নত সমূহের অন্তর্ভুক্ত। যদি তোমরা ঐ সকল লোকদের অর্থাৎ, মুনাফিকদের ন্যায় গৃহাভ্যন্তরে নামাজ পড়তে আরাম্ভ কর তাহলে তোমরা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম)-এর সুন্নতকে ছেড়ে দিলে। আর যদি তোমরা নবী সালাম আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নতকে ছেড়ে দাও তাহলে নিশ্চিত ভাবে তোমরা পথভ্রষ্ট যাবে।
(মুসলিম শরীফ হাদিস নং-৬৫৪)
২. হযরত আবু দারদা (রাযি.) থেকে বর্ণিত-প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, যে গ্রামে বা মাঠে তিনজন লোক থাকে অথচ তারা সেখানে জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করে না, শয়তান তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, সুতরাং তোমরা জামাআতকে জরুরী মনে করো, কেননা দলত্যাগী বকরি কে ধাগে খেয়ে ফেলে।
(আবু দাউদ হাদিস নং-৫৪৭, মুস্তাদরাকে হাকেম হাদীস নং-৯০০, মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২৭৫৮২)
৩. হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি আজান শুনলে অতঃপর কোন শরয়ী উযর না থাকা সত্ত্বেও মাসজিদে আসলো না, তার নামাজ কবুল হবে না। সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) জিজ্ঞেস করলেন উযর কি..? রাসূল (সা.) বললেন অসুস্থতা বা ভয়-ভীতি।
(আবু দাউদ শরিফ হাদিস নং-৫৫১, মুস্তাদরাকে হাকেম হাদীস নং-৮৯৬, ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৭৯৩)
৪. হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত-প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন: হয়তো লোকেরা জামাআত তরক করা থেকে বিরত হোক, না হয় আমি তাদের ঘর-বাড়িগুলো জ্বালিয়ে দিব।
(ইবনে মাজাহ হাদিস নং-৭৯৫)
পর্যালোচনা:
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীসসমূহ এর আলোকে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রাহ.) জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করা ফরজে আইন বলেছেন, এবং ইমাম শাফেয়ী (রাহ.) ফরজে কেফায়া বলেছেন। আর ইমাম আযম আবু হানিফা (রাযি.) সক্ষম পুরুষদের জন্য জামাআতকে ওয়াজিব বলেছেন। হানাফী মাযহাবের কোন কোন কিতাবে জামায়াতকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলা হলেও বিশুদ্ধ ও মজবুত মতানুযায়ী তার অর্থ হল মজবুত এবং শক্তিশালী হাদিস ও সুন্নতের মাধ্যমে জামাআতে শরিক হওয়া ওয়াজিব প্রমানিত।
(আল বাহরুর রায়েক-১/৬০২, আল ফিকহুল ইসলামী-২/১১৬৭,শামী-১/৫৫২, বাদায়ে-১/১৫৫, ফাতহুল কাদীর-১/৩০০,মাহমুদিয়া-৭/১৩১,আলমগীরী-১/৫৩, রহীমিয়া-১/২১৩)
সুতরাং জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে খুবই গুরুত্ব প্রদান করা জরুরি।বর্তমানে অধিকাংশ লোকেরা জামাতের ব্যাপারে যে অলসতা করছে এবং ঘরে বা দোকানে অফিসে একাকী নামাজ পড়ে নিচ্ছে তা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তা স্পষ্ট পথভ্রষ্টতা। আর নামাজ তরফ করা তো কুফুরি কাজ, যা কোন মুসলমানের জন্যই শোভা পায় না।
আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে নামাজি হওয়ার এবং সক্ষম পুরুষদের কে জামাতের সাথে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন
মুফতি মনসুরুল হক সাহেব (দা: বা:)
১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি.) বলেন,যে ব্যক্তিকে একথা আনন্দ দান করে যে কাল কিয়ামতের দিন সে মুসলমান হিসাবে আল্লাহ তাআলার সহিত মিলিত হবে সে যেন ফরজ নামাজ সমূহকে এমন স্থানে আদায়ের ইহতিমাম করে যেখানে আযান দেয়া হয় অর্থাৎ, মাসজিদে কিংবা আল্লাহ তা'আলা তোমাদের নবীর জন্য এমন সুন্নতসমূহ জারী করেছেন, যা হিদায়াতপূর্ণ। আর জামাআতের সাথে নামাজ আদায় নিশ্চিত রূপে সুনানে হুদা তথা হিদায়াতের আলোদানকারী সুন্নত সমূহের অন্তর্ভুক্ত। যদি তোমরা ঐ সকল লোকদের অর্থাৎ, মুনাফিকদের ন্যায় গৃহাভ্যন্তরে নামাজ পড়তে আরাম্ভ কর তাহলে তোমরা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম)-এর সুন্নতকে ছেড়ে দিলে। আর যদি তোমরা নবী সালাম আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নতকে ছেড়ে দাও তাহলে নিশ্চিত ভাবে তোমরা পথভ্রষ্ট যাবে।
(মুসলিম শরীফ হাদিস নং-৬৫৪)
২. হযরত আবু দারদা (রাযি.) থেকে বর্ণিত-প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, যে গ্রামে বা মাঠে তিনজন লোক থাকে অথচ তারা সেখানে জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করে না, শয়তান তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, সুতরাং তোমরা জামাআতকে জরুরী মনে করো, কেননা দলত্যাগী বকরি কে ধাগে খেয়ে ফেলে।
(আবু দাউদ হাদিস নং-৫৪৭, মুস্তাদরাকে হাকেম হাদীস নং-৯০০, মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২৭৫৮২)
৩. হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি আজান শুনলে অতঃপর কোন শরয়ী উযর না থাকা সত্ত্বেও মাসজিদে আসলো না, তার নামাজ কবুল হবে না। সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) জিজ্ঞেস করলেন উযর কি..? রাসূল (সা.) বললেন অসুস্থতা বা ভয়-ভীতি।
(আবু দাউদ শরিফ হাদিস নং-৫৫১, মুস্তাদরাকে হাকেম হাদীস নং-৮৯৬, ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৭৯৩)
৪. হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত-প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন: হয়তো লোকেরা জামাআত তরক করা থেকে বিরত হোক, না হয় আমি তাদের ঘর-বাড়িগুলো জ্বালিয়ে দিব।
(ইবনে মাজাহ হাদিস নং-৭৯৫)
পর্যালোচনা:
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীসসমূহ এর আলোকে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রাহ.) জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করা ফরজে আইন বলেছেন, এবং ইমাম শাফেয়ী (রাহ.) ফরজে কেফায়া বলেছেন। আর ইমাম আযম আবু হানিফা (রাযি.) সক্ষম পুরুষদের জন্য জামাআতকে ওয়াজিব বলেছেন। হানাফী মাযহাবের কোন কোন কিতাবে জামায়াতকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলা হলেও বিশুদ্ধ ও মজবুত মতানুযায়ী তার অর্থ হল মজবুত এবং শক্তিশালী হাদিস ও সুন্নতের মাধ্যমে জামাআতে শরিক হওয়া ওয়াজিব প্রমানিত।
(আল বাহরুর রায়েক-১/৬০২, আল ফিকহুল ইসলামী-২/১১৬৭,শামী-১/৫৫২, বাদায়ে-১/১৫৫, ফাতহুল কাদীর-১/৩০০,মাহমুদিয়া-৭/১৩১,আলমগীরী-১/৫৩, রহীমিয়া-১/২১৩)
সুতরাং জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে খুবই গুরুত্ব প্রদান করা জরুরি।বর্তমানে অধিকাংশ লোকেরা জামাতের ব্যাপারে যে অলসতা করছে এবং ঘরে বা দোকানে অফিসে একাকী নামাজ পড়ে নিচ্ছে তা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তা স্পষ্ট পথভ্রষ্টতা। আর নামাজ তরফ করা তো কুফুরি কাজ, যা কোন মুসলমানের জন্যই শোভা পায় না।
আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে নামাজি হওয়ার এবং সক্ষম পুরুষদের কে জামাতের সাথে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন