জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত ও তার কিছু উপকারিতা।
জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত
ও তার কিছু উপকারিতা।
মুফতি মনসুরুল হক সাহেব (দা:বা:)————————:ফজিলত:————————
১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, জামাতের সাথে আদায় কৃত নামাজ একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি ফজিলত পূর্ণ।
(বুখারী শরীফ হাদিস নং ৬৪৫)
২. হযরত উসমান ইবনে আফফান (রাযি.) এর সূত্রে প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অন্যত্র ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করল সে যেন অর্ধরাত দাঁড়িয়ে ইবাদত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করল, সে যেন সারারাত নামাজ পড়লো।
(মুসলিম শরীফ হাদিস নং৬৫৬)
৩. হযরত আনাস (রাযি.) এর সূত্রে অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য লাগাতার ৪০ দিন ক্রমাগত তাকবীরে উলার সাথে জামাতে নামাজ আদায় করবে, তার জন্য দুইটি সনদ লিখে দেয়া হবে, একটি হল তার জাহান্নাম থেকে মুক্তির। অপরটি হল মুনাফেকীর ফিরিস্তি থেকে মুক্তির।
(তিরমিযী শরিফ হাদীস নং-২৪১)
৪. হযরত আবু মুসা আশআরী (রাযি.) থেকে বর্ণিত-অপর এক হাদীসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মাসজিদ থেকে যত দূরে অবস্থান করে, সে দূর থেকে মাসজিদে আসার দরুন ততবেশি সওয়াবের অধিকারী হবে।
(বুখারী শরীফ হাদিস নং-৬৫১, মুসলিম শরীফ হাদিস নং ৬৬২)
৫. হযরত আবু উমামা (রাযি.) থেকে বর্ণিত-অন্য এক হাদীসে আছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঘর থেকে অজু করে ফরয নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদ পানে রওয়ান হল, সে ইহরাম বেঁধে গমনকারীর প্রাপ্ত সওয়াবের পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হবে।
(আবু দাউদ শরীফ হাদিস নং-৫৫৮)
————————:উপকারিতা:———————
১. দ্বীনি মাসায়িল ইত্যাদি সম্পর্কে অনবগত লোকেরা ওলামায়েকেরাম থেকে দ্বীনি শিক্ষা করতে পারে।
২. মুসলমানদের মধ্যে পরস্পরে ভ্রাতৃত্ববোধ ও আন্তরিকতার সৃষ্টি হয়।
৩. ধনী ব্যক্তিরা অভাবীদের অবস্থা ও প্রয়োজনাদি সম্পর্কের সহজে অবগতি লাভ করতে পারে।
৪. মুসলমানদের মধ্যে সাম্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫. বিধর্মীদের উপর মুসলমানদের প্রভাব সৃষ্টি হয় ইত্যাদি।
[আলবাহরুর রায়েক ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬০৬। ফতওয়ায়ে শামী-১/৫৫১, মারাকিল ফালাহ-১৫৬]