দৈনন্দিন নবীজির সহজ তিনটি সুন্নত
দৈনন্দিন নবীজির সহজ তিনটি সুন্নত
তিনটি সুন্নত এমন রয়েছে, যেগুলোর ওপর আমল করলে বাকি অন্যান্য সুন্নতের উপর আমল করা অতি সহজ হয়ে যায় ,অন্যান্য সুন্নতের উপর আমল করার আগ্রহ বাড়ে, ইনশাআল্লাহ এটা অভিজ্ঞতার কথা।
প্রথম সহজ সুন্নত: আগে আগে সালাম দেয়া। বেশি বেশি সালাম দেয়া। অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলমানকে সালাম দেয়া, সালামের প্রচলন ঘটানো। তাই পরিচিত হোক অথবা অপরিচিত। সালাম সহীহ শুদ্ধভাবে দেয়া। যেমন:
السلام عليكم ورحمة الله
এবং কেউ সালাম দিলে কিভাবে উত্তর দিবে :
وعليكم السلام ورحمة الله.
দ্বিতীয় সহজ সুন্নত: প্রত্যেক উত্তম কাজ ও উত্তম স্থানে ডান দিককে আগে বাড়ানো এবং তুলনামূলক নিম্নমানের কাজ ও নিম্নমানের স্থানে বাম দিককে আগে বাড়ানো। যেমন:
আজকের উত্তম স্থান। তাই ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং খানা খাওয়া উত্তম কাজ, তাই ডান হাত দিয়ে খানা খাওয়া। পায়খানা নিম্নমানের স্থান তাই বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং নাক সাফ করা তুলনামূলক নিম্নমানের কাজ তাই বাম হাত দিয়ে নাক সাফ করা।
তৃতীয় সহজ সুন্নত: আল্লাহ তাআলার জিকির বেশি বেশি করা। দিনের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তিগফার, ১০০ বার দুরূদ শরীফ, ১০০ বার কালিমায়ে তাইয়িবার জিকির করা। যে সমস্ত ফরজ নামাজের পর সুন্নত নেই সাথে সাথে, আর যে সমস্ত নামাজের পর সুন্নত আছে, সুন্নত শেষ হওয়ার পর- মুস্তাহাব হলো এই—
استغفر الله الذي لا اله الا الله الا هو الحي القيوم واتوب اليه
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুবু ইলাইহি।
আইতুল কুরসি তিন বার, তিন কুল- অর্থাৎ সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস ফজর ও মাগরিবে তিন তিনবার, বাকি ওয়াক্তে এক একবার পড়া। তাসবীহে ফাতেমী অর্থাৎ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।
উত্তম হলো, আমরা যখন নিচ থেকে উপরের দিকে উঠে তখন الله اكبر الله اكبر বলতে বলতে উঠব। উপর থেকে নিচের দিকে নামার সময় সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ বলতে বলতে নামবো এবং সমতল ভূমিতে চলার সময় لا اله الا الله বলতে বলতে চলব।
এই সমস্ত আমল আমরা এই নিয়তে করব যাতে আল্লাহ তাআলার মহাব্বত বাড়ে গাইরুল্লাহর মহাব্বত কমে।