জুমআর দিনের আমল (সুন্নাত ও আদব সমূহ)

জুমআর দিনের আমল
(সুন্নাত ও আদব সমূহ)


জুমআর দিনের বিশেষ কিছু আমল যেগুলোর উপর আমল করলে প্রতি কদমে এক বছর নফল নামাজ ও এক বছর নফল রোজার সওয়াব হাসিল হয়। এই হাদীসটি মিশকাত শরীফে বর্ণিত রয়েছে। বর্ণনা করেছেন ইমাম তিরমিযী,ইমাম আবু দাউদ,ইমাম নাসায়ী ও ইমাম ইবনে মাজাহ রাহিমাহুমুল্লাহ। যার সম্পর্কে হযরত মোল্লা আলী কারী (রহ.) মিরকাত কিতাবে লিখেছেন যে, সহীহ হাদীস দ্বারা এত বেশি ফজিলত অন্য কোন আমল সম্পর্কে পাওয়া যায় না।

বিশেষ আমল:
ক. জুমআর নামাজের উদ্দেশ্যে গোসল করা।
খ. আজানের পূর্বেই মসজিদে যাওয়া।
গ. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
ঘ. ইমাম সাহেব এর কাছাকাছি বসা অর্থাৎ স্থান প্রথম কাতারে নতুবা দ্বিতীয় কাতারে বসা।
ঙ. উভয় খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনা।
চ. খুতবার সময় কোন কথা বা কাজ না করা।
(তিরমিযী হাদিস নং -৪৯২)

জুমআর দিনের অন্যান্য আমল:
 ১. সূরা কাহাফ পড়া। (কমপক্ষে ১০ আয়াত)
(মুসলিম হাদিস নং: ৮০৯; তাফসির ইবনে কাসির-৩/৭৯)
ফায়দা: দাজ্জালের ফিতনা হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

২. সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়া।
রাকা'আত: একসাথে চার রাকাআত অথবা দুই দুই রাকাত পড়া।
(আবু দাউদ হাদিস নং:১২৯৭)

৩. উত্তম পোশাক ও খুশবু লাগিয়ে নামাজে আশা।
(বুখারি হাদিস নং: ৮৮৩, হাদিস নং:৮৮৬)

খুশবু ব্যবহারে নিম্নোক্ত নিয়ত করবে—
* এটা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত।
* আমাদের শরীরের ঘামের গন্ধ হতে যাতে অন্যদের কষ্ট না হয়।
* মুসলমান ভাইদের অন্তর খুশি করা।
* হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন " যারা গরীব,খুশবু কেনার টাকা নেই, তাদের জন্য গোসল হচ্ছে খুশবু।

৪. দুই খুতবার মাঝে যখন ইমাম সাব বসে তখন অন্তরে দোয়া করা, মুখে নয়।
(তিরমিযী হাদিস নং:৫২৮)

(আমার মৃত্যু যেন ঈমানের সাথে হয়, সুন্নতের উপর কায়েম রাখো, শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়ার তৌফিক দাও, হেদায়েত দাও, সমাজের জন্য কবুল করো, এ ধরনের দোয়া করা।)
ফায়দা: আসরের পর ৮০ বার এই দুরুদ শরীফ পড়া—
اللهم صل على محمد النبي الامي وعلى اله وسلم تسليما
(আদদূরু মানযুদ ফিস সালাতি ওয়াস সালামি আলা সাহিবিল মাকামিল মাহমুদ- পৃ: ১৬০)

ফায়দা: আল্লাহপাক ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। যদি গুনাহ না থাকে তবে জান্নাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তার আমলনামায় ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব লিখে দিবেন।

৫. বেলা ডোবার আগে (মাগরিবের) ১০/১৫ মিনিট আগে মসজিদে এসে দোয়ায় মশগুল হওয়া।
(আবু দাউদ হাদিস নং: ১০৪৮)
ফায়দা: এ সময়ও দোয়া কবুল হওয়ার ওয়াদা রয়েছে।

৬. এদিনে অন্যদিনের তুলনায় বেশী দুরুদ পড়া।
(আবু দাউদ হাদিস নং: ১০৪৭)
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url